Be a Trainer! Share your knowledge.

বাংলাদেশে গ্রামীনফোন অপারেটর Volte সেবা চালু


Hi Guy's!
বাংলাদেশে গ্রামীনফোন অপারেটর Volte সেবা চালু করেছে।
চলুন সুবিধা অসুবিধা গুলো জেনে নিই :
VoLTE এর অর্থ হচ্ছে Voice over LTE। এর নাম শুনেই নিশ্চই ধারনা করতে পারছেন যে VoLTE এর সাহায্যে ৪জি নেটওয়ার্কে কথা বলা বা ফোন-কল করা সম্ভব হবে। তবে আমরা অনেক বছর আগে থেকে যে সাধারন ফোন-কলের সাথে পরিচিত তেমন ফোন কল নয়। VoLTE ব্যবহার করে করা ফোন কলে কিছু এক্সট্রা সুবিধা পাওয়া যাবে যেগুলো ৩জি এবং ২জি ফোন কলে পাওয়া যায়না। VoLTE কি এবং এটার এক্সট্রা সুবিধাগুলো কি কি সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি আজকে।
ইমপ্রুভ কভারেজ ও কনেক্টিভিটি
VoLTE কল এবং সাধারন ২জি এবং ৩জি নেটওয়ার্কের কলের মধ্যে আরেকটি পার্থক্য হচ্ছে এর কানেক্টিভিটি এবং রিলায়েবলিটি। VoLTE টেকনোলজি একটি কলকে ২জি এবং ৩জি-র তুলনায় দ্বিগুণ দ্রুত তার রিসিভারের সাথে কানেক্ট করিয়ে দিতে পারে। তাছাড়া যখন ৪জি সিগনাল না পাওয়া যাবে, তখনো স্মার্টফোনে ২জি এবং ৩জি নেটওয়ার্ক এভেইলেবল থাকবে, এর ফলে অভারল বেটার নেটওয়ার্ক কভারেজ দিতে সক্ষম হবে VoLTE। কারন, বর্তমানে বাংলাদেশের যেসব জায়গায় ৪জি সিগনাল আছে, তবে ২জি এবং ৩জি সিগনাল নেই, সেসব জায়গায় নরমাল ফোন কল করা একেবারেই সম্ভব হয়না। VoLTE চালু হলে এই সমস্যাটি আর থাকবে না যেহেতু ৪জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেই কল করা হবে।
আপনি মনে করতে পারেন যে, ৪জি আছে বাট ২জি/৩জি নেই এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না কখনোই। তবে না, ঘটতেই পারে। কারন, অধিকাংশ ৪জি মোবাইল অপারেটররা ৮০০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম ব্যবহার করে এবং ৮০০ মেগাহার্জ স্পেকট্রামের নেটওয়ার্ক রেঞ্জ ২জি/৩জি নেটওয়ার্কের তুলনায় বেশি। এর ফলে টাওয়ারের থেকে অনেক দূরে থেকেও ৪জি সিগনাল পাওয়া সম্ভব, বাট ২জি/৩জি- ক্ষেত্রে রেঞ্জ কম হওয়ায় অনেক দূর থেকে সিগনাল পাওয়া কিছুটা কষ্টকর।
বেটার ব্যাটারি লাইফ
এটা শুনতে আপনার কাছে সত্যি নাও মনে হতে পারে। তবে সত্যিকারেই, যারা সবসময়ের জন্য Automatic 4G মোডে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, VoLTE চালু হওয়ার পরে তারা তাদের ফোনে কিছুটা বেটার ব্যাটারি লাইফ পেতে পারেন। বর্তমানে আপনি যখন ৪জি নেটওয়ার্কে থাকা অবস্থায় ফোন কল করেন, তখন আপনার ফোন নিজে থেকেই ২জি/৩জি নেটওয়ার্ক সার্চ করে এবং ২জি/৩জি নেটওয়ার্কে সুইচ করে যাতে আপনি কলটি করতে পারেন। এরপর আপনি যখন কল শেষ করেন, তখন আপনার স্মার্টফোন আবার ৪জি নেটওয়ার্ক সার্চ করে এবং পেয়ে গেলে ৪জি নেটওয়ার্কে সুইচ করে।
এই প্রত্যেকবার নেটওয়ার্ক সার্চ করা এবং নেটওয়ার্ক সুইচ করতে কিছুটা এক্সট্রা ব্যাটারি খরচ হয় এবং অভারল ব্যাটারি লাইফ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয় এর কারনে। যদিও অনেক বেশি নয়, তবুও VoLTE চালু হলে যেহেতু এভাবে বারবার নেটওয়ার্ক সার্চ করতে হবেনা এবং নেটওয়ার্ক সুইচ করতে হবে না, তাই অবশ্যই ব্যাটারি লাইফ কিছুটা হলেও বাড়বে।
VoLTE এর অসুবিধা
VoLTE কল করার জন্য এবং কল করার সময় VoLTE এর সকল সুবিধা উপভোগ করার জন্য যে কলটি করছে এবং যে কলটি রিসিভ করছে তাদের দুজনকেই ৪জি নেটওয়ার্কের আওতায় থাকতে হবে এবং দুজনের নেটওয়ার্ক অপারেটরকেই VoLTE সাপোর্ট করতে হবে।
তাছাড়া কল চলাকালীন সময়ে যেহেতু দুজনকেই ৪জি নেটওয়ার্ক কভারেজে থাকতে হবে, তাই কল চালাকালীন সময়ে কলার বা রিসিভার কেউ যদি ৪জি নেটওয়ার্কের বাইরে চলে যায়, তাহলে কলটি ড্রপ করবে।
আরেকটি সমস্যা হতে পারে কল-রেট বা প্রাইসিং। যেহেতু VoLTE আরও বেশি ডাটা ব্যবহার করে, তাই VoLTE সুবিধা চালু করার পরে অপারেটররা VoLTE এর কল-রেট সাধারন কলের তুলনায় কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারে।
কিভাবে চালু করবেন
Grameenphone
আপনার ফোনে Volte সেবা সাপোর্ট কি না জেনে নিন।
Dail *121*1133*3#
আপনার ফোনটি যদি Volte সেবা সাপোর্ট থাকে একটিভ করার নিয়ম
Dail *121*1133*1#

About Author

Previous
Next Post »

Category